নীড় হারা পাখিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় দিতে গাছে গাছে তৈরী হচ্ছে কৃত্রিম বাসা শ্রীরামপুরে

15th June 2020 8:39 am হুগলী
নীড় হারা পাখিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় দিতে গাছে গাছে তৈরী হচ্ছে কৃত্রিম বাসা শ্রীরামপুরে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শ্রীরামপুর ) : আমপান ঝড়ে লন্ড ভন্ড করে দিয়েছে মানুষের জীবন।বাদ যায়নি কেউ।  প্রচন্ড  ঝড়ে উড়ে গেছে পাখির বাসা,সেই পাখির বাসা ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগি হল হুগলীর শ্রীরামপুরের পাঁচ যুবক। ২০ মে আমপান ঝড়ে বহু গাছ ভেঙে পরে অসংখ্য গাছের ডাল ভাঙে। সেই গাছ,এবং গাছের ডাল ছিলো পাখিদের আশ্রয় ।শুধুমাত্র হুগলী জেলাতেই প্রায় ৬০ হাজার ছোটো বড় গাছ ভেঙেছে।পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে পাখিদেও।তারা ঘর হারিয়েছে।কিন্তু পাখিদের কি হবে?এই কথা ভেবে পাখিদের জন্য কৃত্রিম বাসা বাঁধার পরিকল্পনা করে শ্রীরামপুরের পাঁচ যুবক।মাটির কলসিতে খড়কুটো ভরে একদিকে গোল করে কেটে সবুজ রঙ করে গাছে গাছে বসিয়ে দেওয়া শুরু করেন তারা।প্রথমে শ্রীরামপুর বল্লভপুরে গঙ্গার পারের কয়েকটি গাছে গোটা কুড়ি বাসা বাঁধার পর তারা দেখেন  অনেক পাখি আসছে। এবার আরো অনেক বেশি করে বাসা তৈরী করে গোটা শ্রীরামপুর জুরে গাছে গাছে বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।প্রকৃতির নিয়মেই পাখিরা তাদের বাসা তৈরী করে নেবে ঠিক,তবে তাতে সময় লাগবে কিছুটা।আপাতত টুনটুনি,বুলবুলি,হাঁড়িচাচা,শালিকরা তাদের বাসা ফিরে পাবে কয়েকজন যুবকের এই উদ্যোগে সন্দেহ নেই।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।